আসমানী বেগম
এই গায় এই মধুমতি তীরে হাজারো লোকের ভিড়ে বালকবেলায়
দেখা শ্যালকের মাকে ঘিরে অজস্র কৌতুহল দানা বেঁধেছিল ওই নবীন বয়সের
মায়ায় গায়ে গায়েব পাড়ায় পাড়ায় ভিখ মাগে যা পায় তাই খায়
আর পাতাল হেঁটে বেড়াও দিন নাই অন নেই যখন যেথায় কি
এক দুর্বিনীত বুদ্ধ নেশায় পাগলিনী নাকি গেও যোগিনী
তখনকার বয়সে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ও কাঁচা হলুদ রঞ্জিত দেখুন চন্দন চর্চিত ভাপিকলো লোটে
যৌবন অনে লুঙ্গি লুণ্ঠিত অর্থ লাখ 40 বয়সে রঞ্জিত দেখুন চন্দন চর্চিত
অগোছালো আর নিতম্ব সম্বিত কেশরাশি উদাম হওয়ায় পিঠের পরে লোটে
যৌবনে যৌবনে লুঙ্গিতা অবগুন্ঠিত গায়ের বধু জগত মহিনি রমনি দাতা আলো
পুরুষের কবলে পরকীয়া প্রেমের ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত কখনো মূলধন খুইয়ে দিশেহারা
অথবা বৈশাখী মেঘ বৈশাখী ঝড়ে বৈশাখী ঝড়ের নীড়হারা বৈশাখী ঝরে নিল খারাপ
পথে পড়ে বাকি অসহায় ডানা ভাবটা চৈত্রের দুপুরে চলা পথের ধারে কৃষকেরা
যেথায় ক্ষেতের আগাছা niray রাস্তায় মরে
রামানন্দ বনি কে আমার পাশে খেয়াঘাটে পাঠশালার বটতলায়
গৃহস্থ বাড়ির আঙ্গিনায় দেখা যায় ওআইসি পোটলা অহেতুক জটলা
মাঝখানে একেলা খোলামেলায় নারী ভাষায় তুলে দে পরভা কৌতুকে নাজেহাল
বেসামাল ছেলে বুড়োর লিভ নির্ভেজাল বাপি বাক্যবাণ তির্যক
অনূদিত পাখি বাক্যবাণ তির্যক কথা শুনে বৃদ্ধ মহিলা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ক্ষ্যাপা মিলনের মতো নেই ধরে পরে নিদারুণ কান্না নামে সারা জীবন পাশে কখনও-বা দেখেছি তাকে অদ্ভুত সরি দরকার সকলের তরে সকলে বৃত্তস্থ কোণ সুরেলা গলায়
নাইরে নাইরে আবার প্রেমের মরা জলে ডুবে না সেই প্রেম সেই একদিন ভাঙছে দুদিন এমন কে প্রেম ওরা মরা জলে
কখন না মুরিও রাজা খায় না ভাসিল জলে মনিরে বানিয়ে রাখ আমেরিকা হত এক চিরন্তন আবেগে
সেই যে যোগিনী কোথায় সে গেল কেউ তার ঠিকানা জানে না